চরিত্র:
- মরিয়া: বয়স্কা মহিলা, বার্টলি, মাইকেল, ক্যাথলিন ও নোরার মা। সমুদ্র তার স্বামী, শ্বশুর ও অন্যান্য ছেলেদের কাছে নিয়ে গেছে।
- বার্টলি: মরিয়ার শেষ জীবিত ছেলে। সে সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য যাত্রা করতে চায়।
- ক্যাথলিন: মরিয়ার বড় মেয়ে (বয়স ২০)। সে বাড়ির কাজ সামলায় এবং মায়ের মানসিক সহায়তা করে।
- নোররা: মরিয়ার ছোট মেয়ে।
কাহিনী:
নাটকটি আইরিশ উপকূলের এরান দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপে অবস্থিত মরিয়ার কুটিরে শুরু হয়। ক্যাথলিন কেক বানাচ্ছে। হঠাৎ নোরা এসে এক বান্ডিল কাপড় নিয়ে ঢোকে। পাদ্রী তাদেরকে এই কাপড় চিনতে দেন। কাপড়টি তাদের হারিয়ে যাওয়া ভাই মাইকেলের কিনা, তা নির্ধারণ করতে হবে তাদের।
ক্যাথলিন ও নোরা কাপড় দেখে নিশ্চিত হয়, এটি মাইকেলেরই। সমুদ্রে ঝড়ের কথা শোনা যায়। মরিয়া বুঝতে পারে, তার ছেলে সমুদ্রে বিপদে পড়েছে। সে ঈশ্বরের কাছে মিনতি করে ছেলেকে বাঁচানোর জন্য। কিন্তু খবর আসে যে, সমুদ্রে একটা মৃতদেহ পাওয়া গেছে। গ্রামবাসীরা মরিয়াকে জানায়নি তবে ক্যাথলিন বুঝতে পারে, সেই মৃতদেহ মাইকেলের।
শেষ পর্যন্ত, নিশ্চিত হয় যে মৃতদেহটি মাইকেলেরই। বার্টলিও সমুদ্রে যাত্রা করার জন্য প্রস্তুত হয়। মরিয়া জানে, সমুদ্র আরও এক ছেলেকে কেড়ে নেবে। তবুও, সে ভাগ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে না।
নাটকের শেষ দিকে দেখা যায়, বার্টলির মৃতদেহও সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা হয়। মাউরিয়া এবার সমুদ্রের এই চরম নিষ্ঠুরতার কাছে পরাজয় স্বীকার করে নেয়। তার সমস্ত পুত্ররা সমুদ্রের ঢেউয়ে বিলীন হয়েছে। মাউরিয়া শান্তি খুঁজে নেয় এই ভেবে যে, এবার আর কোনো সন্তান হারানোর ভয় তাকে তাড়া করবে না।নাটকটি এই মর্মান্তিক পরিস্থিতিতে মরিয়ার দুঃখ ও স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
আমরা মাত্র চারটি ধাপে সারাংশ জানব এতে করে গল্পটা বুঝতে সহজ হবে।
রাইডার্স টু দ্য সি (সমুদ্রে সওয়ার) - বাংলা সারাংশ
“
Riders to the sea” এটি এমন একটি গল্প যা একটা এক্টের মধ্য দিয়েই নাটকটি শেষ হয়েছে।
জে এম সিঞ্জের( J M Synge ) এর লেখা
রাইডার্স টু দ্য সি নাটকটি এলান দ্বিপে বসবাসকারী মারিয়ার কষ্ট ও দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সমালোচকরা প্রায়শই (মা আয়ারল্যান্ডের) সাথে মারিয়াকে তুলনা করেন যিনি ছিলেন যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, দারিদ্র এবং বিভিন্ন রোগের কারণে তার ছেলেদের হারিয়েছেন।
দ্য স্টার্টিং অ্যান্ড ফাইন্ডিং মাইকেলের কাপড়
নাটকের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই মারিয়া একজন দরিদ্র বৃদ্ধ মহিলা। প্রথমে তার একটা সুখী পরিবার ছিল। কিন্তু সমুদ্রের অতল গহ্বর তার সব কেড়ে নিয়েছে। মারিয়ার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ভেতরে তার স্বামী , শ্বশুর, ছয়টি পুত্র এবং দুইটি কন্যা ছিল। মারিয়া যখন রান্নাঘরে কেক বানাতে ব্যস্ত ছিল তার বড় মেয়ে Cathleen এর সাথে তখনই হাতে এক বান্ডেল কাপড়চোপড়ের সাথে Maurya এর ছোট মেয়ে নোরা প্রবেশ করে। নোরা বলে তাদের এলাকার পাদ্রী কাপড়-চোপড় গুলো তার হাতে দিয়ে চেক করতে বলেছে। কারণ কাপড় গুলো দেখতে তার ভাই Michael এর কাপড়ের মত।
পাত্রী তাদেরকে বলে ডোনেগাল নামক একটি জায়গায় দুজন মাঝি একটি লাশ দেখতে পেয়েছে। তারা লাশটিকে দাফন করে কাপড় গুলো তার কাছে পাঠিয়েছে। মেয়ে দুজন দেখে যে তার মা আশেপাশেই রয়েছে এবং এ সম্পর্কে তারা তার মাকে কিছু বলতে চাই না। মারিয়া ঘরে প্রবেশ করার পূর্বেই তার দুই মেয়ে কাপড় গুলো লুকিয়ে ফেলে। কিন্তু পরক্ষণে দেখা যায় মারিয়া বিষন্ন চেহারা নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে। প্রথমেই বলে রাখি যে, এই সমুদ্র মারিয়ার স্বামী শ্বশুর এবং তার ছেলেদের কেড়ে নিয়েছে। এখন তার ছেলে Michael কেউ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বার্টলির গালওয়ে মেলায় যাত্রা
এ সময় ঘরের ভেতর মারিয়ার সর্বশেষ পুত্র Bartley ঘরে প্রবেশ করেন। পরক্ষণে দেখা যায় Bartley নিজেও সমুদ্রে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের ঘোড়া দুটি বিক্রি করার জন্য সে তাদের গ্রামের কাছাকাছি গল ওয়ে ফেয়ার নামক শহরে যাচ্ছে। তাদের ঘোড়ার নাম হল রেড মেয়ার এবং গ্রে পনি। Bartley ঘোড়া বিক্রি করতে যেতে চাইলেও মারিয়া কোনভাবেই রাজি হচ্ছে না কিন্তু Bartley যেকোনো মূল্যে যাবেই।
মারিয়া বারবার করে বোঝাচ্ছে যে এখন আবহাওয়া খারাপ এবং কিছুদিনের মধ্যেই সমুদ্রে ঝড় উঠবে তাই তোমার মেলায় যাওয়া যুক্তিসঙ্গত হবে না। কিন্তু Bartley কোন কথা শুনতে নারাজ, মনে মনে ভাবে এখন যদি মেলায় ঘোড়া দুটি বিক্রি না করা যায় তাহলে তার পরিবার পরও বিপদের সম্মুখীন হবেন। এখান থেকে Bartley এর পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীলতার পরিচয় পাই।
মারিয়া যখন বুঝতে পারে তার ছেলে মেলায় যাবেই তখন সে বলে এটিই হয়তো তার শেষ যাত্রা এবং তার সঙ্গে শেষ দেখা। এটি শুনে Cathleen তার মাকে অনেক রাগারাগি করে কারণ তাদের গ্রামের রীতি অনুযায়ী যাত্রা শুরুর পূর্বে কোনরকম অসভ্য কথাবার্তা বলা দণ্ডনীয় অপরাধ। এতে যাত্রাকারীর জন্য অশুভ ইঙ্গিত বয়ে আনে।Bartley এর জন্য Cathleen কেক বানিয়েছিল কিন্তু তার মায়ের সাথে তর্ক করায় সে কেক দিতে ভুলে যায়। তখন সে মারিয়াকে বলে কেক নিয়ে যাও এবং তাকে আশীর্বাদ করে আসো।
ক্লথস দ্বারা মাইকেলের মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া
তাদের মা চলে যাওয়ার পরে তারা Michael এর জামা কাপড় গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বের করে এবং নোরা বুঝতে পারল যে এটা তার ভাইয়েরই জামা। কারণ সে নিজের হাতে জামাগুলো সেলাই করেছে। অন্যদিকে মারিয়া তার ছেলেকে কেক দিতে পারেনি। সে বলল যখন সে কেক দিতে গেল তখন দেখল Bartley মেয়ারের উপর বসে Michael কে ধাওয়া করছে। Michael পানির উপর মুডটা হয়ে বসে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তখন Cathleen ও Nora, মারিয়া কে বলল তার ভাইয়ের ডেড বডি খুঁজে পাওয়া গেছে এবং তাকে সমাধিস্থ করা হয়েছে।
সবাই বুঝতে পারে এটি মারিয়ার হেলো সলিউশন এবং এটির জন্য Bartley এর উপর খারাপ কিছু বয়ে আসতে পারে। যখন সে তার ছেলে মৃত্যুর কথা সুন্দর তখন সে অনেক কান্নাকাটি করতে লাগলো কারণ তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যই সমুদ্রের মারা গিয়েছে। তার চারটি পুত্র সন্তান সমুদ্রে গিয়েছিল মাছ ধরতে তারা আর ফেরত আসে নি। সর্বশেষ Michael সমুদ্রযাত্রায় মৃত হয়ে ফেরত এসেছে।
মারিয়া হতাশা এবং বার্টলির মৃত্যু
মারিয়া তার ছেলেদের কথা ভাব থাকে এবং অনেক কান্নাকাটি করতে থাকে, এমন সময় পালে জড়িয়ে গ্রামবাসী আরো একটি মৃতদেহ মারিয়ার কাছে নিয়ে আসে। কেউ একজন তার কাছে এসে বলে Bartley মারা গিয়েছে। সমুদ্রে নৌকা চলা অবস্থায় গ্ৰে পনি তাকে লাথি দিয়ে সমুদ্রে ফেলে দেয় এবং পাথরের সঙ্গে আঘাত লেগে তার মৃত্যু হয়। গ্রামবাসীরা সবাই মিলে Bartley এর লাশ দাফন করার জন্য সম্পূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
পরিশেষে আমরা দেখতে পারি যে মারিয়া তাদের বাড়ির উঠানে জোরে জোরে কান্না করতে থাকে। সে অনবরত বলতে থাকে তার আর কোন দুঃখ নেই। কারণ এই সমুদ্র তার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। মারিয়া তার ভাগ্যকে মেনে নেয় কারণ সমুদ্রের পাশের মানুষের এই ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
মূল বিষয়বস্তু
"Riders to the Sea" নাটকটির মূল বিষয়বস্তু হলো প্রকৃতির ভয়াবহতা ও মানুষের অসহায়ত্ব। নাটকটি এক দুঃখময় কাহিনী যেখানে সমুদ্রের বিপরীতে মানুষের জীবনসংগ্রাম ফুটে উঠেছে। নাটকটি আমাদেরকে প্রাকৃতিক শক্তির সামনে মানুষের সীমাবদ্ধতা ও ভঙ্গুরতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
এই নাটকটির মাধ্যমে জে এম সিঞ্জের( J M Synge ) গ্রামীণ জীবনের কষ্ট ও সংগ্রামের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন।