প্রিয়ংবদা
(অতিথি কবি)
সে বড় সুরূপা সুদৃশ্যা নারী
কৈশর পেরিয়ে যোবণনদ দিচ্ছে পারি,
শরতের মেঘের ন্যায় হৃদখানি
লক্ষিলে হৃদয় চায় কাছে টানি।
ওষ্ঠ তার যেন কমালার কোয়া
বৃক্ষ হতে মাত্র ছেড়া,
প্রেমভরা নয়নে চাইলে ওদিকে
যাবেনা কভু ফেরা।
বাচ্যদ্বয় তার হৃদয়কাড়া
মেঘজল যেন ঝড়ছে,
তাইতো বলি সহস্র হৃদয়
কিকরে সে হরণ করছে।
সঙ্গ পেলে তার কোন নিশী
হতাম স্বর্গবাসী,
বক্ষমনির সংস্পর্শ পেয়ে
দেখতাম তার শশী।
আলিঙ্গনস্বাদ বড় স্পৃহনীয়
স্পৃহা হয় ধরতে ঐ হাত,
স্পৃহা হয় কমলার কোয়ার
স্পৃহা হয় লাভে তার প্রপাত।
চুম্বিতে ইচ্ছা হয় কপালবিন্দু
চুম্বিতে তৃনয়নে,
চুম্বিতে তার দুটি চক্ষুও
সে মোর শয়নেস্বপনে।
কোন অপরাহ্নে পারতাম যদি
তার কোলে রাখতে মাথা,
কেশদ্বয়ে তার হস্তস্পর্শে
ভুলতাম জগৎব্যাথা।
যে মহৎহৃদীর সংগীত গাইলাম
সে মোর জীবন-গাথা,
আর কেউ নয় সে মোর সুভগ
সে মোর প্রিয়ংবদা।