চঞ্চলীকা
মাসাল্লাহ!
শিশিরভেজা মিষ্টি দূর্বার অনুভূতি তুমি
ছোট্ট শিশুর আনন্দমাখা চাঞ্চল্য তুমি,
কেকের উপর জাপটে থাকা দুষ্টু ক্রিম তুমি
স্নিগ্ধজলে স্নান করা তাজা পদ্ম তুমি।
আঁখি দেখে মনে হয় বয়ে গেছে নদী
হাসি যেন বাড়িয়ে দেয় চাঞ্চল্যের গতি,
কেশগুলো বাহ বাহ বেশ ঘনকালো
চেয়ে ঐ চোখপানে হারাই আলো।
আড়চোখে তাকিয়ে মুখে রেখে হাসি
আড়ালে মনমাঝে কি বল? ভালোবাসি?
চঞ্চল-দুষ্টু দু'টি চুলগুচ্ছ;
মুখ-চুম্বন করে বাড়ায় সৌন্দর্য।
একটা হাসি মুখে শান্তি যোগায়
আরেকটা হাসি উন্মাদ বানায়,
আরেকটা হাসি চাঞ্চল্য বাড়ায়
রূপ বটে তোমার জগৎ ভোলায়।
ওষ্ঠ যেন তোমার গোলাপ-পাপড়ি
অথবা কোন যুবতী আপেল,
চাইলে এক মুহুর্ত, যুবরাই নয়
বুড়োরাও বলবে জান তুমি খেল।
মাসাল্লাহ নন্দন চেহারা তোমার
দয়াময় দিয়েছিল রূপ,
শিশুর নিষ্পাপতা, যুবতীর যৌবন
রূপতো নয় নন্দনকূপ।
কত রূপ তোমার আমিতো মুগ্ধ
হৃদয়ও কি এমনই পবিত্র?
ঠাই পাবে কে ঐ হৃদপুরিতে
পারবেকি কষ্ট করে সেটা বলতে?
সৌভাগ্যশালী, মহৎ হৃদয় তার
হবে কি সে মহৎ মানব?
নাকি সে হবে কোন দুর্ভাগা
ভূলে ভরা যার জগৎ?