দুঃখসুখ
রাতুল হোসেন
দুঃখের মাঝে সুখ খুঁজি আমি
অনলের মাঝে পানি,
শত্রুর মাঝে বন্ধু খুঁজি
হলে হয়ে যাক হানি।
মিথ্যার মাঝে সত্য খুঁজি
গানে খুঁজে পাই বানী,
আলোর দিকে যেন আমি
অন্ধকারকে টানি।
বদের মাঝে সৎ খুঁজে পাই
পশুর মাঝে মমত্ব,
শশীর গায়ে দাগ থাকলেও
আছে তার সৌন্দর্য।
কৃপনের মাঝে রয়েছে হিসাবী
হিংস্রের প্রয়োজন যত্ন,
বারবার কাটাছেড়ার পরেই
সুন্দর হিরারত্ন।
দায়িত্বহীনে দায়িত্ব খুঁজি
রাত্রির মাঝে দিবা,
পরের ক্ষতি করলেও হাজার
আপনার করে কেবা।
মেঘেদের মাঝে বিদ্যুৎ আছে
অসতের মাঝে ভালো,
হীরক মেলে কয়লার ক্ষনিতে
আধারেই মেলে সব আলো।
সরল ভাষায় : প্রতিটা খারাপ জিনিসেরই একটা ভালো দিক থাকে।একটা পশু যতই হিংস্র হোক সে তার বাচ্চাকে ভালোবাসে,অনেক খারাপ মানুষও অন্যের ক্ষতি করলে নিজের আপনজনদের ক্ষতি করে না। মেঘের ঘর্ষনের ফলেই তো বিদ্যুৎ চমকায় আর সে আলোয় জগত আলোকিত হয়ে ওঠে।কয়লার খনিতেই হিরা পাওয়া যায়, তবে সেটা বারবার কাটাছেড়ার পড়েই মনুষের কাছে গ্রহণযোগ্য বা সুন্দর হয়। চারিদিকে অন্ধকার হলেই মানুষ আলোকে খোঁজে। খারাপ মানুষগুলোও যদি সঠিক যত্ন পায় তারা ভালো হয়ে যাবে।