করোনার ভয়
রাতুল হোসেন
হয় তো হবেনা দেখা আর
ওগো বন্ধু আমার,
আজরাইল ঘুরছে আজ আমার বারান্দায়
এই বুঝি আমায় সে নিয়ে যেতে চায়।
দুঃখ এসেছে, বিরক্তি এসেছে
নাম তার করোনা,
ঘরে বন্দী রেখেছে কিছুই
করতে দিচ্ছে না।
বাইরে বেরুলেই ধরছে সে
নাক মুখ চেপে,
দম বন্ধ হয়ে মানুষ
যাচ্ছে তার কাছে হেরে।
তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার
নাইকো অস্ত্র আজ,
কোন মহান ঋষিমনির
হারেও হবেনা কাজ।
তার হাত থেকে বাচার এখন
একটাই উপায়,
ঘরে থাকো লুকিয়ে থাকো
বের হয়োনা ভাই।
অতি জরুরি প্রয়োজনে
যদি বের হও,
চেনা যেন না যায় তোমায়
মুখোশ পড়ে যাও।
করনার ছানা লেগে থাকে
যেকোনো কিছুর সাথে,
লাগতে পাড়ে জামায় তোমার
লাগতে পারে হাতে।
বাড়ী এসেই তাই আগে
হাত দুটোকে ধোও,
সাবান-পানিই যতেষ্ট
হবে স্যানিটারেও।
কাপড় কেচে রোদে শুকাও
অধিক লাভ হবে,
করনার ছানার সাথে
অন্য জীবাণুও যাবে।
এভাবে সাবধান হয়েই
থাকি কিছুদিন,
আশা করি করনা আর
রবে না বেশিদিন।
আল্লাহর দয়া আমাদের উপর
অবশ্যই একদিন হবে,
প্রতিরোধ করতে করতে
প্রতিকারও পাওয়া যাবে।
সরল ভাষায় :
(১-১২) লাইন - আমাদের আর দেখা নাও হতে পারে বন্ধু।মৃত্যু বুঝি আমার দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়ে আছে।দুঃখ ও বিরক্তির রূপে করোনা ভাইরাস এসেছে।করোনার জন্য কেউ ঘর থেকে বের হতে পারছেনা।যারা বাইরে বের হচ্ছে তারা বেশিরভাগই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে।অনেকে এর জন্য শ্বাসকষ্টে ভুগছে এবং অনেকে মারাও যাচ্ছে।
(১৩-২৪) লাইন - করোনা কোন মানুষ নয় তাই কোন অস্ত্র দিয়ে একে প্রতিহত করা সম্ভব নয়।আর এ ভাইরাসকে প্রতিহত করতে পারে এমন কোন ঔষধও কেউ তৈরি করতে পারেনি।এখন করোনায় আক্রান্ত না হওয়ার একটাই উপায় আছে।আর সেটা হল নিজ নিজ বাড়ীতে অবস্থান করা। খুব জরুরি প্রয়োজনে যদি বের হতে হয় তবে মুখে মাস্ক পড়ে বের হতে হবে।
(২৫-৩৬) লাইন - করোনাভাইরাস মানুষের হাতে,জামায় বা মাস্কে লেগে থাকতে সক্ষম। তাই বাড়ি এসেই প্রথমে দুই হাত সাবান দিয়ে ধুতে হবে,হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়েও হাত জীবাণুমুক্ত করা যায়।কাপড় কেচে রোদে শুকাতে হবে। রোদে করোনাভাইরাসহ অন্য জীবাণুও মারা যাবে।
(৩৭-৪৪) লাইন - কিছুদিন সবাই এভাবেই সাবধান হয়ে করোনার হাত থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখি।আল্লাহ অবশ্যই আমাদের উপর দয়া করবেন এবং এর ঔষধ পাওয়া যাবে আল্লাহ চাইলে।