রংনম্বারওয়ালী
রাতুল হোসেন
ও রংনম্বারওয়ালী
কেন এই ঝড় তুই তুললি
বুকের মাঝে একি অনুভূতি
কি এমন বল তুই করলি
প্রথম যেদিন তুই দিলি মিস কল
বুঝলাম কোন এক মিস,
কল দিলাম জানতে চেনা কি অচেনা
করতে চাইনি আমি টিজ।
তারপর তুই বললি আমায় চিনিস
আমিও নাকি তোর খুব চেনা,
বলবিনা নাম দেখবি আমি তোকে
চিনিতে পারি কিনা।
ও রংনম্বারওয়ালী
একি ভেবাচেকায় তুই ফেললি,
অচেনা নাকি আসলেই চেনা
বুঝতে না দিয়ে তুই মারলি।
দ্বিতীয় দিনেও তুই দিলি মিসকল
কল দিলাম কিন্তু ধরলিনা,
একদিকে যেমন ধরছিসনা ফোন
অন্যদিকে মিস বন্ধ করছিসনা।
তারপর ফোন ধরল তোর বোন
শুনলাম একটা মিষ্টি কন্ঠ,
বললাম এখন আর বলবনা কথা
মিষ্টি কথা হল বন্ধ।
কর্কশ কন্ঠে বলল মিথ্যা
আমি নাকি আগে কল করেছি,
দিলাম কেটে বুঝে নেই রক্ষা
বিনাদোষে ফাসিতে ঝুলেছি।
ও রংনম্বারওয়ালী
একি ঝামেলায় ফেললি,
বিনাদোষে বানালি আসামি
কি দোষ করেছি বল আমি।
পরের দিনে রাত ভরে মিসকল
রাতে কথা বলা না যাবে,
বাধ্য হয়ে তবু করলাম কল
মনের ধৈর্যের অভাবে।
কাউকে বললি তুই করছিস প্রেম
বুঝলাম তুই খেলছিলি গেইম,
তারপরও কিছুদিন গল্প করলাম
পকেটের টাকাগুলো ফ্রিতে হারালাম।
ও রংনম্বারওয়ালী
কেন এত মিসকল মারলি,
নিজেও তো কল দিতে পারতি
কষ্ট জমেছে মনে বারতি।
সরল ভাষায় : একদিন রাত বারোটায় একটা রংনম্বার থেকে বক্তার ফোনে কল আসে। বক্তা কলব্যাক করে।একটা মেয়ে ফোন ধরে বলল সে বক্তার পরিচিত একজন মানুষ। কিন্তু সে তার নাম বলেনি।বক্তাকে চিনে নিতে বলে।পরের দিনে আবার মেয়েটি মিস দিল,বক্তাও ব্যাক করে।কিন্তু মেয়েটি ফোন ধরে না।মেয়েটি বারবার এভাবে মিস দিতে থাকে কিন্তু কথা বলে না।কিছুক্ষণ পর মেয়েটির বোন ফোন ধরে।বক্তা কয়েকটি কথা বলে ফোন রেখে দিতে চাইলে সে রেগে যায়।পরের দিন মেয়েটি রাত ১২-২ একটানা মিসকল দিল।বক্তা অবশেষে কল দিতে বাধ্য হল।মেয়েটির বোন মেয়েটিকে সে কি করছে জানতে চাওয়ায় সে বলে সে প্রেম করছে।বক্তা বুঝতে পারল মেয়েটি তার অচেনা, তার সাথে মজা করছিল। তাও বন্ধুর মতো কিছুদিন কথা বলে।
- এখানে আমার পরিচিত একজন মানুষের একটা অভিজ্ঞতা কবিতায় বর্ণনা করেছি।